হাঁস খাওয়ার খবর নাকি দুর্নীতির অভিযোগ—গুরুত্ব কোথায়?
সম্প্রতি উপদেষ্টা আসিফের হাঁস খাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে একই সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি গুরুতর।
কিছু সংবাদমাধ্যম আসিফের ব্যক্তিগত পছন্দ—হাঁস খাওয়া—নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে মজা, কৌতুক ও হালকা আড্ডার বিষয় তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আসলে তেমন কোনো সাংবাদিকতাগত মূল্যবোধসম্পন্ন খবর নয়। আসিফের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত হয় তবে তা জনস্বার্থ, রাষ্ট্রীয় অর্থব্যবস্থা ও নীতিনৈতিকতায় গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। সাংবাদিকদের দায়িত্ব হচ্ছে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা, তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা এবং জনগণের সামনে উপস্থাপন করা।
সাংবাদিকতার মূল নীতি হলো “জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া”। হাঁস খাওয়ার মত হালকা বিষয়কে কেন্দ্র করে সংবাদ তৈরি করলে মূলত গুরুতর অভিযোগগুলো আড়ালে থেকে যায়। এর ফলে জনগণ ভুল পথে পরিচালিত হয় এবং গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়।
উপদেষ্টা আসিফের হাঁস খাওয়ার বিষয়টি যতটা তুচ্ছ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ততটাই গুরুতর। তাই সংবাদমাধ্যমের উচিত ব্যক্তিগত আচরণ নয়, বরং দুর্নীতি ও অনিয়মের মতো জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
সাংবাদিকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দুর্নীতির অভিযোগ—হাঁস খাওয়ার ঘটনা নয়।