৩২ নম্বরের পাগড়ীওয়ালা ব্যক্তিকে ঘিরে “আলেম নির্যাতন” প্রচারণা: দূরভিসন্ধির আশঙ্কা
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ৩২ নম্বরের পাগড়ী পরিহিত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদি তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হতো, তবে সেটিকে “আলেম নির্যাতন” বলে ব্যাপক প্রচারণার চেষ্টা চলতে পারতো—এমনই ধারণা অনেকের। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি কেবল একটি সাধারণ ঘটনা নয়; বরং এর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে আলেম নির্যাতনের ইমেজ তৈরি করার দূরভিসন্ধি থাকতে পারে।
বাংলাদেশে আলেম সমাজ একটি প্রভাবশালী অংশ। তাদের যেকোনো ক্ষুদ্র ঘটনার সাথেও ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে যায়। এই আবেগকে ব্যবহার করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো সহজ হয়। তাই অনেকেই বলছেন, ৩২ নম্বরের লোকটির ঘটনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে “আলেম নির্যাতন” হিসেবে উপস্থাপন করা হলে তা সরকারের জন্য বড় ধরনের ইমেজ সংকট তৈরি করত।
পাগড়ী পরিহিত একজন লোক মানেই সাধারণ মানুষের চোখে তিনি আলেম বা ধর্মীয় ব্যক্তি। তাকে আঘাত করা হলে তা স্বাভাবিকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে। আর সেই সুযোগেই সরকারবিরোধী শক্তি সাধারণ মানুষকে আবেগপ্রবণ করে তোলার চেষ্টা করতে পারতো।
ঘটনাটি ঘটলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। “সরকার আলেমদের উপর হামলা চালাচ্ছে” কিংবা “ধর্মীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে”—এমন স্লোগান ব্যবহার করে তা আন্তর্জাতিক পরিসরেও উপস্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল বলেই অনেকে আশঙ্কা করছেন।
সব দিক বিচার করলে দেখা যায়, ৩২ নম্বরের পাগড়ীওয়ালা ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে যে আলোচনার জন্ম হয়েছে, তা নিছক কোনো ব্যক্তিগত ঘটনার সীমাবদ্ধতা নয়। বরং এর পেছনে ছিল একটি দূরভিসন্ধি, যার লক্ষ্য ছিল সরকারের বিরুদ্ধে আলেম নির্যাতনের অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।