সান্ডা সম্পর্কে বিস্তারিত (Saara hardwickii)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস
-
পরিবার: Agamidae
-
উপপরিবার: Uromasticinae
-
গণ: Saara
-
প্রজাতি: Saara hardwickii
বিস্তার ও আবাসস্থল
এই প্রজাতিটি মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট এবং পাকিস্তানের সিন্ধু ও পাঞ্জাব অঞ্চলে পাওয়া যায়। তাদের প্রধান আবাসস্থল হলো শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চল, বিশেষ করে থার মরুভূমি।
শারীরিক বৈশিষ্ট্য
-
আকার: পুরুষদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেমি এবং নারীদের প্রায় ৩৪ সেমি।
-
রঙ: সাধারণত হলুদাভ বাদামী, বালুকাময় বা জলপাই রঙের হয়।
-
লেজ: স্পাইনযুক্ত এবং শক্তিশালী, যা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আচরণ ও খাদ্যাভ্যাস
সান্ডা মূলত দিবাচর প্রাণী, অর্থাৎ দিনে সক্রিয় থাকে। তারা প্রধানত উদ্ভিদভোজী, তবে কিছু সময়ে ছোট পোকামাকড়ও খায়। তাদের লেজ আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বিপদের সময় লেজ ফেলে পালাতে সক্ষম।
⚠️ লোককাহিনি ও ভুল ধারণা
দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অঞ্চলে সান্ডা সম্পর্কে বিভিন্ন লোককাহিনি প্রচলিত আছে। বিশেষ করে, কিছু ব্যবসায়ী সান্ডা দিয়ে তৈরি তথাকথিত “সান্ডা তেল” বিক্রি করে দাবি করেন যে এটি যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। তবে এই দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
️ সংরক্ষণ ও আইনগত দিক
সান্ডা বর্তমানে অনেক অঞ্চলে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। তাদের অবৈধ শিকার ও পাচার বন্ধে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তাদের সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
✅ উপসংহার
সান্ডা একটি গুরুত্বপূর্ণ টিকটিকি জাতীয় প্রাণী, যার পরিবেশগত গুরুত্ব রয়েছে। তাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং ভুল ধারণা থেকে মুক্ত থাকা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাদের সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।