সাবেক মেজরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত
Share this article

সাবেক মেজরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত

জুলাই বিপ্লবে ভূমিকা রাখা সাংবাদিক ইলিয়াস আনীত, সম্প্রতি একটি আলোচিত ঘটনায় সাবেক মেজরের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ শুধু ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য নয়, পুরো সেনা বাহিনীর ভাবমূর্তির ওপরও বড় ধাক্কা তৈরি করতে পারে।
সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনুযায়ী তিনি তার পদমর্যাদা ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। ভুক্তভোগী অভিযোগ করার পর বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ায় গড়িয়েছে।
ভুক্তভোগী দ্রুত বিচার দাবি করেছে এবং সেনা সদর দফতরের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করেছে।
সাধারণ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সেনা বাহিনীর মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গণমানসে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত: তারা বলছেন, সেনা কর্মকর্তা যেই হোন না কেন, আইনের চোখে সবাই সমান। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এই ঘটনাটি মূলত তিনটি বড় দিক সামনে নিয়ে আসে—

প্রাতিষ্ঠানিক ভাবমূর্তি: সেনা বাহিনী দেশের সবচেয়ে শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তাই এর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ গোটা বাহিনীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

আইনের শাসন: প্রভাবশালী ব্যক্তি বা সেনা কর্মকর্তা হলেও আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে নিরপেক্ষ তদন্ত অপরিহার্য।

নারী নিরাপত্তা প্রশ্ন: এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, সমাজের সব স্তরে নারীর নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

সাবেক মেজরের স্ত্রীর অভিযোগ শুধু একটি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক ইস্যু। সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে সেনা বাহিনী যেমন তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে, তেমনি নারীরাও কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হবে যে আইন সবার জন্য সমান।


Share this article

Leave a Reply

Back To Top