বাংলাদেশ নির্বাচন ২০২৫-এ তরুণ ভোটারদের প্রভাব ও প্রত্যাশা

বাংলাদেশ নির্বাচন ২০২৫-এ তরুণ ভোটারদের প্রভাব ও প্রত্যাশা-

বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই জনসাধারণের প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচন কিছুটা ব্যতিক্রম। কারণ এবার, দেশে তরুণ ভোটারদের একটি বিশাল অংশ প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। এই তরুণ প্রজন্ম কেবল সংখ্যায় বিশাল নয়, তারা চিন্তায়, প্রযুক্তিতে এবং সামাজিক আন্দোলনে বেশ সক্রিয়। এ কারণে তরুণ ভোটারদের প্রভাব বাংলাদেশ নির্বাচন ২০২৫-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।

তরুণ ভোটারের সংখ্যা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?-

বাংলাদেশের জনসংখ্যা গঠনের দিক থেকে তরুণরা একটি বড় অংশ দখল করে আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) এবং নির্বাচন কমিশনের (EC) তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখের বেশি তরুণ ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন অথবা হচ্ছেন। এই সংখ্যাটি মোট ভোটারের প্রায় ২০-২৫% ভাগ। এমন একটি সময়ে যখন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জনগণের আস্থা ফিরে পেতে চায়, তখন এই তরুণ ভোটারদের ভোট হয়ে উঠতে পারে জয়ের চাবিকাঠি

 কেন গুরুত্বপূর্ণ:

সংখ্যার ভিত্তিতে পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম :
একটি সংসদীয় নির্বাচনে ৫-৭% ভোটই জয়ের ব্যবধান নির্ধারণ করে। সেখানে তরুণদের ২০% ভোট একটি দলকে সহজেই ক্ষমতায় আনতে পারে বা ছিটকে দিতে পারে।

তরুণরা দলীয় ভোট নয়, চায় যোগ্য নেতৃত্ব :
তারা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি অন্ধ নয়। তারা বিচার করে দেখে কে বাস্তব কাজ করেছে, কে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার উপযুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাব :
তরুণরা ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতনতা ছড়ায়। এদের ভোট না পাওয়ার মানে শুধু হার নয়—বরং একটি নেতিবাচক প্রভাব সমাজে ছড়িয়ে পড়া।

তাই, ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মঞ্চ নয়, বরং তরুণদের শক্তি, চিন্তা ও মত প্রকাশের পরীক্ষাক্ষেত্র হয়ে উঠছে।

এই তরুণরা শুধু ভোট দেয় না, তারা ভবিষ্যৎ গড়ে। এই সংখ্যা কেবল পরিসংখ্যান নয়, বরং এটি নির্দেশ করে যে, তরুণদের সমর্থন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলই এখন জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে না। তরুণদের ভোট “কিংমেকার” হয়ে উঠছে।

তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা-

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এখন আর রাজনীতির ব্যাপারে উদাসীন নয়। তারা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন, বিশ্লেষণধর্মী ও প্রশ্নকারী। রাজনীতি তাদের কাছে কেবল ভোট দেওয়ার বা দলীয় পরিচয়ের বিষয় নয়—বরং এটি এখন জীবনের অংশ, যেখানে ন্যায্যতা, অধিকার, উন্নয়ন ও ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত থাকে।

তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক :

 সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়তা :

তরুণরা এখন ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব, টুইটার (এক্স), ব্লগ ও অনলাইন নিউজে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে, মত প্রকাশ করে, এমনকি সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করে।
তারা ভুল তথ্য যাচাই করতে পারে, সত্য তুলে ধরতে জানে। এই ডিজিটাল সক্রিয়তাই তাদের একটি “ডিজিটাল রাজনৈতিক শক্তি” বানিয়েছে।

রাজনৈতিক ইস্যুতে মতামত প্রদান :

তরুণরা এখন শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি, মানবাধিকার, পরিবেশ, জেন্ডার ইকুইটি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দিচ্ছে এবং এসব ইস্যুকে তারা ভোটের সময় প্রাধান্য দেয়।

আবেগের বদলে যুক্তিভিত্তিক মূল্যায়ন :

আগের মতো অন্ধ দলে ভিড়ে যাওয়া নয়, বরং আজকের তরুণরা কে কী কাজ করেছে, কে কতটা বিশ্বাসযোগ্য, ইশতেহার কতটা বাস্তবসম্মত—এসব দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদের নেতৃত্ব :

বিশ্ববিদ্যালয় বা অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে নিষ্পাপ আন্দোলন, রোড সেফটি ক্যাম্পেইন, নির্বাচন সংক্রান্ত দাবি, কোটা সংস্কার—এসব তরুণদের হাত ধরেই হয়েছে।

তরুণদের এই রাজনৈতিক সচেতনতা কী বোঝায়?-

তারা কেবল ভবিষ্যতের ভোটার নয়, বরং বর্তমান সময়ের চিন্তাশীল নাগরিক। রাজনীতিকে তারা প্রশ্ন করে, চ্যালেঞ্জ করে এবং প্রয়োজন হলে পরিবর্তনের দাবিও তোলে। তারা চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং বাস্তবসম্মত নেতৃত্ব

কী চায় তরুণ ভোটাররা?-

২০২৫ সালের নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী ভোটব্যাংকে পরিণত হয়েছে। তবে এদের চাহিদা একমাত্র প্রতিশ্রুতি বা আবেগ দিয়ে পূরণ হয় না। তারা যুক্তি, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ ভাবনায় বিশ্বাসী। তরুণ প্রজন্ম আজ চায় এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে তারা নিজেদের স্বপ্ন গড়তে পারে, গর্ব নিয়ে বসবাস করতে পারে।

তরুণ ভোটাররা যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়:

  গুণগত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

তরুণরা চায় এমন শিক্ষা ব্যবস্থা, যা শুধু সার্টিফিকেট নয়, জীবন ও কর্মজীবনে কাজে লাগে

  • বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কোর্স আপডেট
  • কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা
  • বিদেশি স্কলারশিপ ও গবেষণার সুযোগ

 কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সহায়তা

বেকারত্ব তরুণদের সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তা।
তারা চায়:

  • সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত চাকরির সৃষ্টি
  • স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ লোন
  • স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম

ডিজিটাল সুযোগ ও প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র

তরুণরা চায় স্মার্ট বাংলাদেশ হোক কেবল স্লোগান নয়, বাস্তবতা।

  • ই-গভর্নেন্স
  • অনলাইন সেবা সহজলভ্যতা
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হালনাগাদ

  স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

তরুণরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দেখতে চায়।
তারা চায়:

  • সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা
  • রাজনৈতিক নেতৃত্বে সততা
  • দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি

পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু সচেতনতা

আজকের তরুণরা পরিবেশ সচেতন। তারা চায়:

  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ
  • শহরগুলোতে সবুজায়ন
  • প্লাস্টিক দূষণ ও নদী দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

 মানসিক স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা

তরুণরা চায়:

  • মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহনশীল পরিবেশ
  • মত প্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা

তরুণদের চাওয়া একটি কথায়?-

তারা চায় “ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত, ন্যায়ের ওপর দাঁড়ানো একটি আধুনিক বাংলাদেশ।”

রাজনৈতিক দলগুলোর করণীয় কী?-

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ ঘিরে তরুণ ভোটারদের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশের মোট ভোটারের একটি বিশাল অংশ এখন তরুণ, যারা প্রযুক্তি-সচেতন, রাজনৈতিকভাবে আগ্রহী এবং পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে। এ প্রেক্ষাপটে, রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু নির্দিষ্ট করণীয় আছে, যেগুলো অনুসরণ করলে তারা তরুণদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।

 তরুণদের চাহিদা বুঝে দলীয় ইশতেহার তৈরি করা-

রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই তরুণদের জীবন, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার তৈরি করতে হবে। যেমন:

  • মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

  • কর্মসংস্থান ও স্টার্টআপ বান্ধব নীতি

  • আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরিকল্পনা

  • নিরাপদ ইন্টারনেট ও সাইবার নিরাপত্তা

 সামাজিক মাধ্যমে কার্যকর উপস্থিতি নিশ্চিত করা

তরুণরা এখন ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা গ্রহণ করে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব মাধ্যমে:

  • তরুণবান্ধব কনটেন্ট তৈরি করতে হবে

  • সরাসরি লাইভ আলোচনায় অংশ নিতে হবে

  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখাতে হবে

 তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলা ও গুরুত্ব দেওয়া

তরুণরা দেখতে চায়, তাদের প্রতিনিধিরাও নেতৃত্বে আসছেন। তাই দলগুলোর উচিত:

  • ছাত্র ও যুব সংগঠনের মধ্য থেকে যোগ্য নেতাদের তুলে আনা

  • রাজনৈতিক মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া

প্রশিক্ষণ ও নেতৃত্ব বিকাশমূলক কর্মসূচি চালু করা

দুর্নীতিবিরোধী ও স্বচ্ছ রাজনীতির অঙ্গীকার

তরুণ প্রজন্ম দুর্নীতি, দলীয়করণ, এবং অস্বচ্ছতাকে ঘৃণা করে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত:

  • দলীয় ভিতরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা

  • টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বা পদ দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে সরে আসা

  • দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া

 তরুণদের সরাসরি সম্পৃক্ত করা

রাজনীতিকে তরুণদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে দলগুলোকে:

  • রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

  • ক্যাম্পেইন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের মতামত নেওয়া

  • স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করা

জলবায়ু ও পরিবেশ ইস্যুতে অগ্রাধিকার দেওয়া

তরুণদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বিষয়ে স্পষ্ট পরিকল্পনা দিতে হবে। যেমন:

  • নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার

  • পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ

  • বৃক্ষরোপণ ও জলবায়ু সচেতনতামূলক কার্যক্রম

 সুশাসন ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা

তরুণরা সমানাধিকার, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার চায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের পাশে থাকতে চায়, তবে:

  • প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে

  • মানবাধিকার রক্ষা ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে

  • আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত?-

তরুণরা এখন আর শুধুমাত্র প্রথাগত রাজনীতির ভাষা বোঝে না। তারা চায়:

  • ডাটা ও তথ্যনির্ভর নীতি
  • ইনোভেশন ও প্রযুক্তিনির্ভর পরিকল্পনা
  • কানেক্টিভ লিডারশিপ (যেখানে নেতৃত্ব জনগণের কথা শোনে)

তরুণরা যেসব নেতাদের সমর্থন করে, তারা সাধারণত নতুন চিন্তাধারার, উদ্যমী ও জবাবদিহিতামূলক হন।

রাজনৈতিক দলের জন্য তরুণ ভোটাররা কেমন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ?-

তরুণদের মন জয় করা সহজ নয়, কারণ তারা প্রচারনার ফাঁদে পড়ার চেয়ে বাস্তবতা দেখে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত:

  • ডিজিটাল প্রচারণা চালানো
  • তরুণদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যাওয়া
  • ছাত্র ও যুব নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া
  • স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও স্টার্টআপে সহায়তা প্রদান

ভোটার তালিকায় ডিজিটাল উদ্ভাবন ও তরুণদের অংশগ্রহণ-

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তরুণদের আকৃষ্ট করতে SMS রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন এনআইডি আবেদন, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ভোটার তথ্য যাচাই—এসব প্রযুক্তিনির্ভর সেবা চালু করেছে।

এগুলো তরুণদের মধ্যে ভোটার তালিকায় নিবন্ধনের আগ্রহ বাড়িয়েছে, যা ভোটার উপস্থিতির হার বাড়াতে সহায়ক।

তরুণরা কাকে ভোট দিবে?-

এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। তবে কিছু জিনিস নির্ধারক হতে পারে:

  • প্রার্থী কতটা তরুণবান্ধব?
  • দলের ইশতেহারে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে?
  • অতীতে তরুণদের জন্য তারা কী কাজ করেছে?

তরুণরা শুধু আবেগ নয়, তথ্যভিত্তিক বিচার করে ভোট দেয়।

নির্বাচনের ভবিষ্যৎ এবং তরুণদের গুরুত্ব-

২০২৫ সালের নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক পরিবর্তনের নয়, এটি হতে পারে তরুণ নেতৃত্বের উত্থানের শুরু। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ধারণে তরুণদের ভোট একটি বড় ভূমিকা রাখবে।

উপসংহার-

বাংলাদেশ নির্বাচন ২০২৫-এ তরুণদের অংশগ্রহণ কেবল ভোট প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিবর্তনের বার্তা। তরুণরা এখন আর শুধু দর্শক নয়—তারা নিয়ামক।

তাদের চিন্তা, চাওয়া ও প্রত্যাশা যদি রাজনৈতিক নেতৃত্ব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে আরও বেশি সমৃদ্ধ, মানবিক ও স্বচ্ছ।

 প্রশ্নোত্তর-

  •  তরুণ ভোটার বলতে কাদের বোঝায়?
    সাধারণত ১৮-২৫ বছর বয়সী প্রথমবারের ভোটারদের তরুণ ভোটার বলা হয়।
  •  বাংলাদেশে কতজন তরুণ ভোটার আছে ২০২৫ সালে?
    প্রায় ২ কোটির বেশি তরুণ ভোটার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • তরুণরা কেমন প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়?
    যিনি তরুণবান্ধব, প্রযুক্তি-বান্ধব, স্বচ্ছ ও কার্যকর পরিকল্পনা দেন।
  •  রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তরুণদের কাছে পৌঁছাতে পারে?
    ডিজিটাল মাধ্যমে, সরাসরি সংলাপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
  •  তরুণদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নিয়ম কী?
    অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন বা সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top