Flash Story
Gen-Z এর ইসলামপ্রীতি
Gen-Z এর ইসলামপ্রীতি: নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুসলিম হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি ও ধর্মীয় চেতনায় নতুন জাগরণ।
সুদানে ড্রোন হামলা
সুদানে ড্রোন হামলা: মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮ বিশ্বাসীদের রক্তাক্ত প্রার্থনা
আরব ন্যাটো
আরব ন্যাটো- আরব দেশগুলোর সামরিক জোটের উদ্যোগ কতটা আলোর মুখ দেখবে?
মুসলিম রাষ্ট্রের ঐক্য- আরব-মুসলিম নেতাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান
কাতারে ইসরায়েলের হামলা: নামাজে যাওয়ার কারণেই কি হামাস নেতারা বেঁচে গেছেন?
গাজায় বোমা হামলা – অমানবীয় গণনির্যাতনের শেষ কোথায়?? গাজার মানবাধিকার সংকট।
nepal
নেপালের অন্তবর্তীকালীন সরকার- কে হলেন নেপালের অন্তবর্তীকালীন সরকার?
নেপাল সরকারের পতন: নেপাল কী শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পথেই হেঁটেছে??
ছাত্রশিবিরের ডাকসু: কেন আলোচনায় ও জনপ্রিয়তায় এল? এর জনপ্রিয়তার পেছনের ইতিহাস ও প্রভাব
Share this article

গাজায় বোমা হামলা- ভূমিকা-

গাজায় বোমা হামলা আজ বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত মানবিক সংকটের একটি। প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে, আহত হচ্ছে হাজার হাজার। নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কেউই এই অমানবীয় হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখের সামনে গাজার মানুষ এক অভূতপূর্ব গণনির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রশ্ন জাগে—এই অমানবীয় গণহত্যার শেষ কোথায়? যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলেও বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি বাহিনী আবারও হামলা চালাচ্ছে।

গাজায় বোমা হামলার পটভূমি-

গাজা -ইসরায়েল সংঘাত হল ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একটি স্থানীয় অংশ , যখন ৭০০,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি যারা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে এসেছিল বা বিতাড়িত হয়েছিল তাদের মধ্যে প্রায় ২০০,০০০ জন শরণার্থী হিসেবে গাজা উপত্যকায় বসতি স্থাপন করেছিল। তখন থেকে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি গাজা উপত্যকায় ১৫টি যুদ্ধ করেছে। গাজা যুদ্ধে (২০২৩ সাল থেকে চলমান) নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা (৬১,০০০+) ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের অন্যান্য সমস্ত যুদ্ধের সম্মিলিত মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি।

মিশর-শাসিত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল তিনটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়: ১৯৪৮ সালের ফিলিস্তিন যুদ্ধ , সুয়েজ সংকটের সময় গাজার প্রথম দখল এবং ১৯৬৭ সালে গাজা দখল । প্রথম দখলের সময়, গাজা উপত্যকার জনসংখ্যার ১% ইসরায়েল কর্তৃক নিহত, নির্যাতন বা কারারুদ্ধ হয়েছিল। নিম্ন-স্তরের বিদ্রোহের দুটি সময়কালের পরে, প্রথম ইন্তিফাদার মাধ্যমে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি বড় সংঘাত শুরু হয় । ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি শান্তির সময় এনেছিল। কিন্তু, ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় । দ্বিতীয় ইন্তিফাদার শেষের দিকে, ২০০৫ সালে গাজা ইসরায়েল গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, হামাস ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে এবং ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রন দখল করে

২০০৭ সালে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র অবরোধ আরোপ করে, এটিকে “উন্মুক্ত কারাগারে” পরিণত করে। এই অবরোধকে ব্যাপকভাবে সম্মিলিত শাস্তির একটি রূপ হিসেবে নিন্দা করা হয়েছিল, যখন ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের রকেট আক্রমণ বন্ধ করার জন্য এটিকে প্রয়োজনীয় বলে সমর্থন করেছিল। হামাস এটিকে যুদ্ধ ঘোষণা বলে মনে করেছিল। ২০০৮-২০০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং বাড়িঘর, স্কুল এবং হাসপাতাল ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়। ২০১২ সালে ইসরায়েলি অভিযানেও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

২০১৪ সালে, ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করে একটি বড় যুদ্ধে যার ফলে ৭৩ জন ইসরায়েলি (বেশিরভাগ সৈন্য) এবং ২,২৫১ জন ফিলিস্তিনি (বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক) নিহত হয়। এই আক্রমণের ফলে “অভূতপূর্ব” ধ্বংস হয়, গাজা শহরের ২৫% এবং বেইত হানুনের ৭০% বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ২০১৪ সালের পর, সংঘাতের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে ” গ্রেট মার্চ অফ রিটার্ন ” (২০১৮-২০১৯) এবং নভেম্বর ২০১৮ , মে ২০১৯ এবং নভেম্বর ২০১৯-এ সংঘর্ষ । ২০২১ সালের সংকটে ২৫৬ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৫ জন ইসরায়েলি নিহত হয়।

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে, ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরায়েলে আক্রমণ করে , ১,১৪৩ জনকে (বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক) হত্যা করে এবং গাজা যুদ্ধ শুরু করে। ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়ে এবং আক্রমণ শুরু করে যার ফলে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬১,০০০ এরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছে।

গাজার মানবিক সংকট-

গাজায় বোমা হামলার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খাদ্য সংকট, চিকিৎসা সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রতিদিন ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ এখন মানবিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। স্কুল, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে।

শিশু ও নারীর অবর্ণনীয় কষ্ট-

গাজায় বোমা হামলার সবচেয়ে করুণ দিক হলো শিশু ও নারীর উপর এর প্রভাব। প্রতিদিন শত শত শিশু নিহত হচ্ছে। অনেকেই বাবা-মা হারাচ্ছে, অনেক শিশু আবার একসাথে পুরো পরিবারকে হারাচ্ছে। যুদ্ধের ভয়াবহতায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইভাবে নারীরাও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। অনেক মা তাদের সন্তানদের কবর দিচ্ছেন নিজের হাতে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া-

গাজায় বোমা হামলা নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দা থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন রাষ্ট্র এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি তুললেও বড় শক্তিগুলোর ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে কার্যকর পদক্ষেপ আসছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশ প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন করে চলেছে, যা গাজার মানুষের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।দিনের পর দিন এত অমানবিক নির্যাতনের পরেও বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক দেশ ও মুসলিম দেশগুলো এই বর্বরতাকে নিন্দা, হুশিয়ারি  ও পণ্যের বয়কট  জানিয়েছে কিন্তু কোন সুষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে পারেনি আজও যার কারণে পুরো বিশ্বের এমন নিন্দা, বয়কট ও হুশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গাজার উপর তাদের হামলা- নির্যাতন জারি রেখেছে। দফায় দফায় হামলা করছে আর হত্যা চালিযে যাচ্ছে। সবচেয়ে অমানবিক ব্যাপার ফিলিস্তিনিদের জন্য কোন খাবার, পানি ও ক্রাণ গুলোকে বাধা দিচ্ছে যার দরুণ নিদারুণ কষ্ট সহ্য করছে গাজাবাসী। 

ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটি ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজারো ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনা আরও তীব্র হচ্ছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে গাজা সিটির ওপর।

বোমা ও গুলির মধ্যে শহর ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ, অনেকেই মনে করছেন তারা হয়তো আর কখনো ফিরে যেতে পারবেন না। জাতিসংঘ মহাসচিব এই হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলেছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “গাজা জ্বলছে”।  মানুষজন ভ্যান, গাধার গাড়ি ও হাতে মালপত্র নিয়ে ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে দক্ষিণের দিকে ছুটছেন। শুরুতে অনেকে শহর না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করলেও, তীব্র বোমাবর্ষণের মুখে অনেকেই এখন পালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দক্ষিণেও নেই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।

মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ৯১ জন নিহত হন। উপকূলীয় সড়কে পালানোর সময় একদল মানুষের গাড়িতে হামলা হয়পূর্ব গাজার তুফফাহ এলাকায় একটি মসজিদও লক্ষ্যবস্তু হয়েছেএকই সময়ে ইসরায়েল বিস্ফোরক বোঝাই রোবট ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেইউরোমেড মনিটর জানায়, এমন অন্তত ১৫টি রোবট মোতায়েন করা হয়েছে, প্রতিটি দিয়ে ২০টি বাড়ি ধ্বংস করা সম্ভব

প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি যুদ্ধের প্রথম ধাপ শেষে গাজা সিটিতে ফিরেছিলেন, কিন্তু এখন শহরে কতজন রয়ে গেছেনতা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ শহর ছেড়েছেন। গাজার গণমাধ্যম অফিসের মতে, প্রায় সমান সংখ্যক মানুষ শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিম অংশে অবস্থান করছেন, আর ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ পুরোপুরি গাজা ছেড়েছেন।

মিডিয়ার ভূমিকা ও সত্য গোপন-

গাজায় বোমা হামলার ঘটনা অনেক সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়। গাজার মানুষের দুর্দশার চিত্র অনেক সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তার নামে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে গাজার ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছালেও অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো দমন করার চেষ্টা চলছে।

ইসলাম ও মানবতা: গাজায় বোমা হামলার নৈতিক প্রশ্ন-

ইসলাম ধর্মে নিরীহ মানুষ হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কুরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, একজন মানুষকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করা। গাজায় বোমা হামলা শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক অমানবীয় অপরাধ। মুসলিম উম্মাহ ও সমগ্র মানবজাতির এখন প্রশ্ন তোলা উচিত—এই গণনির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা কোথায়?

গাজায় বোমা হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব-

গাজার অর্থনীতি বহু বছর ধরেই অবরোধের কারণে ভেঙে পড়েছে। সাম্প্রতিক বোমা হামলায় শিল্প, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে। শিশুরা শিক্ষা হারাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে গাজায় একটি পুরো প্রজন্ম অনিশ্চয়তার মধ্যে হারিয়ে যাবে।

বিশ্ব বিবেকের জাগরণ-

গাজায় বোমা হামলা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। তবে কেবল প্রতিবাদই যথেষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক আদালত, মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় এই অমানবীয় গণনির্যাতন থামবে না।

মুসলিম উম্মাহর করণীয়-

গাজায় বোমা হামলা মুসলিম বিশ্বের জন্য এক পরীক্ষা। শুধু বক্তব্য ও নিন্দা নয়, মুসলিম দেশগুলোকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া, রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। গাজায় যারা ভুক্তভোগী, তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব।

অমানবীয় গণনির্যাতনের শেষ কোথায়?-

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—এই অমানবীয় গণনির্যাতনের শেষ কোথায়? ইতিহাস বলে, কোনো দমন-পীড়ন চিরস্থায়ী হয়নি। গাজার মানুষও একদিন স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার পাবে। তবে সেই দিন আসতে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ ও মানবাধিকারের পক্ষের মানুষদের সক্রিয় হতে হবে।

প্রশ্নত্তোর-

প্রশ্ন: গাজায় বোমা হামলা কাদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে?
গাজায় বোমা হামলা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে নারী ও শিশুদের উপর। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু নিহত হচ্ছে এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।

প্রশ্ন: গাজার মানবিক সংকটের প্রধান কারণ কী?
দীর্ঘদিনের অবরোধ, নিয়মিত বোমা হামলা ও আন্তর্জাতিক সাহায্যের সীমাবদ্ধতার কারণে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় বোমা হামলা নিয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিন্দা জানিয়েছে, তবে কার্যকর কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রশ্ন: গাজায় বোমা হামলা বন্ধে মুসলিম উম্মাহ কী করতে পারে?
মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে, মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গাজার পক্ষে প্রচারণা চালাতে হবে।

প্রশ্ন: এই অমানবীয় গণনির্যাতনের শেষ কোথায়?
এই গণনির্যাতনের শেষ নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা, মুসলিম বিশ্বের ঐক্য এবং ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠার উপর। ইতিহাস বলে, কোনো দমন-পীড়ন স্থায়ী হয়নি, গাজাতেও একদিন শান্তি আসবেই।

 


Share this article

Leave a Reply

Back To Top