তিস্তা বাঁধ খোলার পর সম্ভাব্য বিপদ ও ঝুঁকি
বর্তমান পরিস্থিতি
ভারতের গজলদোবা ব্যারেজে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি প্রবাহজনিত কারণে পানি অনেক বেড়েছে। বাঁধের সব গেট খোলার ফলে বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে, ৭–১৮ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহ করছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৫–৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, অন্তত এক লাখ মানুষ বিপদে।
সম্ভাব্য বিপদ ও প্রভাব
-
চর ও নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবন
— নিম্নাঞ্চল, চর, নদীতীরবর্তী গ্রাম, কৃষিভূমি ও বাড়িঘর প্লাবিত হতে পারে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। -
আবাসন, ফসল, পশুপালনে আঘাত
— আমনের কিছু ক্ষতি কম হলেও শাকসবজি, পাট, ধানচারা ইত্যাদি ফসল নষ্ট হতে পারে। পশুপালন ও মাছচাষেও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। -
সড়ক, জলপথ ও অবকাঠামো ক্ষতি
— চরের রাস্তাঘাট, সেতু, বাঁধ, মাছের পুকুর ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। -
পরবর্তী নদীতে স্রোতের চাপ বৃদ্ধি
— তিস্তার পানি বেশি থাকলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা নতুন এলাকায় বন্যা তৈরি করবে। -
জনজীবন বিপর্যস্ত
— মানুষ জলাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হয়ে উঁচু জায়গা বা বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে।
সারসংক্ষেপে ঝুঁকি
-
দ্রুত বাড়তে থাকা পানি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করবে।
-
কৃষি, পশুপালন, বসতবাড়ি ও অবকাঠামোর ক্ষতি হবে।
-
নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হতে পারে।
পরামর্শ ও প্রস্তুতি
-
জরুরি উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্র ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা।
-
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ, রাস্তা ও সেতুর সংস্কার করা।
-
দীর্ঘমেয়াদে নদী পাড়ের অবকাঠামো শক্তিশালী করা ও পানি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।