Flash Story
আফগানিস্তানের ভারত সফর
আফগানিস্তানের ভারত সফর: সম্পর্ক, কূটনীতি ও ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়
কুরআনের অবমাননা
কুরআনের অবমাননা- নর্থ সাউথের অপূর্ব পালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
বিশ্বনেতাদের ওয়াকআউট
বিশ্বনেতাদের ওয়াকআউট- জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর বক্তব্য বয়কট বিশ্বনেতাদের।
উত্তাল ভারতের লাদাখ
উত্তাল ভারতের লাদাখ: জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল কেন শীতল লাদাখ???
উইঘুর মুসলিম গণহত্যা
উইঘুর মুসলিম গণহত্যা: চীনের অন্ধকারতম রহস্য
গাজায় প্রকোশ্যে মৃত্যুদন্ড
গাজায় প্রকোশ্যে মৃত্যুদন্ড: গাজায় ইসরায়েলের তিন গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
রেড লাইন ঘোষণা
রেড লাইন ঘোষণা: ফ্রান্স ও সৌদি আরব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘রেড লাইন’ ঘোষণা
উত্তাল রাকসু নির্বাচন
উত্তাল রাকসু নির্বাচন- রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর, উত্তাল ক্যাম্পাস
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা- রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা
কুরআনের অবমাননা
Share this article

কুরআনের অবমাননা: ভূমিকা-

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে সরব আলোচনায় এসেছে কুরআনের অবমাননা- নর্থ সাউথের অপূর্ব পালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন। যদিও বিষয়টি গভীরভাবে আদালত, আইন, ধর্ম ও সামাজিক অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত, এতে মানবাধিকার ও ন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে। এই পোস্টে আমরা ঘটনাটির প্রেক্ষাপট, আইনগত দিক, আবেদন প্রক্রিয়া ও সম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করব, পাশাপাশি সাধারণ পাঠকদের জন্য কিছু প্রশ্নোত্তর সংযুক্ত করব।

ঘটনাপ্রেক্ষিত: কী ঘটেছে?-

৪ অক্টোবর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওগুলোতে অপূর্ব পালের কোরআন অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। অপূর্ব পাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অপূর্ব পাল শিষ বাজিয়ে বাজিয়ে মুসলিম পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনকে তার পায়ে পদদলিত করেছে এবং তা সামাজিক গণমাদ্যমে পোস্ট করেছে।  শনিবার রাতে কয়েকটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেসবে অপূর্ব পাল কোরআন অবমাননা করেছেন বলে বিভিন্ন পোস্টে অভিযোগ তোলা হয়। বিভিন্ন পোস্টে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় এবং তার গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয়। এর মধ্যেই রাত ১টার দিকে অপূর্ব পালের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ অনেকেই। খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রথমে পুলিশ জনতার সহায়তা চায়, জনতার পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে এক পর্যায়ে পুলিশ যখন অপূর্বকে আটক করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে, তখন উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর শুরু করে। পুলিশ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ সদস্য ডেকে নেওয়া হয়।মারধরের মধ্যেই পৌনে ৩টার দিকে অপূর্বকে হেফাজতে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার পর তার ফেইসবুক আইডিতে কোরআন অবমানার ভিডিওর সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু তাকে আটক করতে গেলে উত্তেজিত জনতার বাধার মুখে পড়তে হয়।” বাসাটিতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ওই শিক্ষার্থী, তবে পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ রয়েছেন বলে জানান তিনি।

একপর্যায়ে আহত অবস্থায় অপূর্ব পালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ-

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে – “পবিত্র কোরআন অবমাননার জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে” 
অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না। অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন এ বিভাগের প্রভাষক আসিফ বিন আলী।

আইনগত প্রসঙ্গ: ধর্ম অবমাননার মামলা-

বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল আইন ও বিধান রয়েছে। যদিও দেশের আইনধারায় “ধর্ম অবমাননা” নামে নির্দিষ্ট একটি অপরাধ নেই, “বিজ্ঞান ধর্ম অবমাননা” বা “ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি আঘাত”রূপে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু ধারা প্রয়োগ করা হয়। কোরআন অবমাননার অভিযোগে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. চাঁদ আলী আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অপূর্ব পালের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামি কোরআন অবমাননার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্য–প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব পাল স্বীকার করেছেন যে, তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন শরীফ হাত থেকে ফ্লোরে ফেলে পা দিয়ে পদদলিত করে ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।’

আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে আসামিকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাকে কারাগারে আটক রাখা জরুরি।

সারা দেশে মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া-

ধর্মীয় সংগঠন ও ইসলামী নেতাদের বক্তব্য:

মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্বকারী একটি শক্তিশালী ইসলামী সংগঠন, তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

জামিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ অপূর্ব পালের কর্মকাণ্ডকে “ন্যাক্কারজনক ও স্পর্শকাতর অপরাধ” বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং শ্রেণাগত শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য মুসলিম সমাজকে সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান করেছে।

অপূর্ব পালের ‘দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবি আহমাদুল্লাহর:

রোববার (৫ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন আহমাদুল্লাহ।

তিনি লিখেছেন, ‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে!
তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!’

মিজানুর রহমান আজহারীর তীব্র নিন্দা:

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় মিজানুর রহমার আজহারী তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এটিকে ‘অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।  তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এবং বলেছেন যে- ‘মানসিক ভারসাম্যহীন হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়।’ আজহারী তার ফেসবুক পেজে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি পোস্টও দিয়েছেন এবং বলেছেন যে কোন ধর্মগ্রন্থের অবমাননা সহ্য করা হবে না।

 ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (CU) ছাত্র‐ধর্মীয় সংগঠন “Chabian Dini Poribar” একটি কুরআন তিলাওয়াত অনুষ্ঠান আয়োজন করেন ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংগঠনের নেতারা

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছেন, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে দাবি তুলেছেন সর্বোচ্চ শব্দে শাস্তির।

 জনসাধারণ ও স্থানীয় বিক্ষোভ-:

ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এবং হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন দল সাড়াদেশে বিভিন্ন জায়গায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এবং এহেন ঘৃণিত অপরাধ ও মুসলিম ধর্মের অনুভূতিকে আঘাত করার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন অপূর্ব পালের।

সরকারের দিকে আহ্বান এবং আইন প্রয়োগ:

বিভিন্ন সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সরকারকে আবেদন করা হয়েছে যেন ইনক্রিমেন্টাল বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

 সামাজিক নেটওয়ার্ক ও মিডিয়া প্রতিক্রিয়া:

-ফেসবুক, X (Twitter) ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ বেশ মোক্ষমভাবে এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করছে — কেউ কেউ কঠোর আইন প্রয়োগের পক্ষে, কেউ আবার প্রতিরোধমূলক শিক্ষা ও সংবেদনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

-সংবাদমাধ্যম অধিকাংশই ঘটনাটি প্রধান শিরোনায় এনেছে, ধর্ম অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতির খুঁটিনাটি তুলে ধরেছে যাতে জনসাধারণ জানতে পারে ঘটনার বিষয়বস্তু ও পরিণতি।

উপসংহার-

কুরআনের অবমাননা- নর্থ সাউথের অপূর্ব পালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন” নামক এই ঘটনা শুধু এক ব্যক্তির নয় — এটি আইন, ধর্ম, সামাজিক চেতনা ও ন্যায়বিচারের ওপর চ্যালেঞ্জ।

আমার বিবেচনায়, আইন প্রয়োগ সবসময়ই বোধগম্য ও ন্যায্য হতে হবে। যেকোনো অভিযুক্ত— ধর্মীয় সংবেদনশীল অপরাধে অভিযুক্ত হোক বা অন্য কোনো অভিযুক্ত— তাকে ন্যায্য প্রক্রিয়া দেয়া উচিত।

প্রশ্নত্তোর-

১. কুরআনের অবমাননা কি একটি স্বীকৃত অপরাধ বাংলাদেশে?

বাংলাদেশে “কুরআন অবমাননা” নামে নির্দিষ্ট একটি অপরাধবিধি না থাকলেও, আইনপ্রণেতারা “ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি আঘাত” বা “শৃঙ্খলা আইন” ও দমন আইন দ্বারা অনুরূপ ধারা প্রয়োগ করতে পারেন।

২. কেন অপূর্ব পালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হলো?

প্রসিকিউশন দাবি করেছে যে জমানামুক্ত হলে প্রমাণ ধ্বংস বা সাক্ষী প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে, এবং বিষয়টি গুরুতর অবস্থার হওয়ায় আদালতকে আটক রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৩. যদি তদন্তে অপরাধ প্রমাণ না হয়, তাহলে কি হবে?

যদি আদালত প্রমাণ সাপেক্ষ না পায়, অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং মামলাটি বিঞ্জাপন্ন হিসেবে বন্ধ ঘোষণা করতে পারে।

৪. অভিযুক্তের জামিন আবেদন করা যাবে কি?

কোনো মামলায় অভিযুক্ত তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করতে পারে। তবে বিচারকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হবে কি না তা নির্ধারণ হবে।

৫. এ ধরনের মামলা সামাজিক শান্তি ও সহনশীলতাকে কেমন প্রভাব ফেলে?

এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অমর্যাদার আনুকূল্য বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া উভয়েরই সৃষ্টি করতে পারে। যদি আইন ও বিচার সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়, সমাজে উত্তেজনা, বিভাজন ও ভাবপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জন্ম নিতে পারে।


Share this article

Leave a Reply

Back To Top