Flash Story
কুরআনের অবমাননা
কুরআনের অবমাননা- নর্থ সাউথের অপূর্ব পালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
বিশ্বনেতাদের ওয়াকআউট
বিশ্বনেতাদের ওয়াকআউট- জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর বক্তব্য বয়কট বিশ্বনেতাদের।
উত্তাল ভারতের লাদাখ
উত্তাল ভারতের লাদাখ: জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল কেন শীতল লাদাখ???
উইঘুর মুসলিম গণহত্যা
উইঘুর মুসলিম গণহত্যা: চীনের অন্ধকারতম রহস্য
গাজায় প্রকোশ্যে মৃত্যুদন্ড
গাজায় প্রকোশ্যে মৃত্যুদন্ড: গাজায় ইসরায়েলের তিন গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
রেড লাইন ঘোষণা
রেড লাইন ঘোষণা: ফ্রান্স ও সৌদি আরব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘রেড লাইন’ ঘোষণা
উত্তাল রাকসু নির্বাচন
উত্তাল রাকসু নির্বাচন- রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর, উত্তাল ক্যাম্পাস
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা- রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা
Gen-Z এর ইসলামপ্রীতি
Gen-Z এর ইসলামপ্রীতি: নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুসলিম হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি ও ধর্মীয় চেতনায় নতুন জাগরণ।
উইঘুর মুসলিম গণহত্যা
Share this article

উইঘুর মুসলিম গণহত্যা: চীনের রহস্য-

উইঘুর মুসলিম গণহত্যা আজকের বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি। চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে প্রায় ১ কোটিরও বেশি উইঘুর মুসলিম বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে এই মুসলিম জনগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক নিপীড়ন, ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা একে গণহত্যা (Genocide) আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু চীন সরকার বরাবরের মতো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীন এই গণহত্যার সত্য গোপন করতে চাইলেও, আধুনিক প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট চিত্র এবং ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য একে বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছে। তবুও চীনের সেন্সরশিপ এবং রাষ্ট্রীয় শক্তির কারণে পুরো বাস্তব চিত্র এখনো অজানা রয়ে গেছে। এই কারণেই একে বলা হচ্ছে “চীনের অন্ধকারতম রহস্য”

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব উইঘুর মুসলিম গণহত্যার ইতিহাস, চীনের অন্ধকার নীতির বাস্তবতা, শিবিরের ভয়াবহ চিত্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া।

(গাজায় বোমা হামলা – অমানবীয় গণনির্যাতনের শেষ কোথায়?? গাজার মানবাধিকার সংকট।)

উইঘুর মুসলিমদের ইতিহাস ও পরিচয়-

উইঘুররা তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম জাতিগোষ্ঠী। তাদের প্রধান ভাষা উইঘুরী, যা তুর্কি ভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তারা মূলত চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বাস করে, যা ঐতিহাসিকভাবে “পূর্ব তুর্কিস্তান” নামে পরিচিত।

উইঘুরদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় জীবনধারা এবং সামাজিক ব্যবস্থা চীনা হান জাতিগোষ্ঠীর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলামী ঐতিহ্য, ধর্মীয় শিক্ষা এবং স্বাধীন সামাজিক রীতিনীতির কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের নজরে।

চীনের অন্ধকার নীতি: কেন উইঘুর মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা হলো?-

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতাকে হুমকি হিসেবে দেখে এসেছে। শিনজিয়াং অঞ্চল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ—তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এ কারণে চীন চাইছে এই অঞ্চলকে পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

চীন সরকার দাবি করে, শিনজিয়াং অঞ্চলে “সন্ত্রাসবাদ দমন” করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এই অজুহাতে লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে আটক করে তথাকথিত “পুনঃশিক্ষণ শিবিরে” পাঠানো হচ্ছে, যেখানে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।

উইঘুর মুসলিম গণহত্যা: নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র-

উইঘুর মুসলিম গণহত্যার অভিযোগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীরা উপস্থাপন করেছেন। তাদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ভয়াবহ কিছু তথ্য—

  • লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে জোরপূর্বক শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
  • নামাজ পড়া, রোজা রাখা, দাড়ি রাখা বা ইসলামি পোশাক পরার কারণে লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ করা হয়েছে, যাতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পায়।
  • শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে রাষ্ট্রীয় বোর্ডিং স্কুলে রাখা হচ্ছে, যেখানে তাদের ইসলামি সংস্কৃতি ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
  • শিবিরে আটক ব্যক্তিদের উপর শারীরিক নির্যাতন, মানসিক যন্ত্রণা এবং বাধ্যতামূলক শ্রম চালানো হচ্ছে।
  • নারীদের গণধর্ষণ চালাচ্ছে এবং জোরপূর্বক তাদের ভ্রূণ নষ্ট করছে।

উইঘুর মুসলিমদের দাস বানিয়েছে চীন-

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে দাসত্ব করানোর অভিযোগ উঠল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে।চীন অবশ্য এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি। অন্যদিকে, এই অভিযোগ সামনে আসার পর আঙুল উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি জুতো ও পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকেও।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সংবাদসংস্থা বিবিসি-ও এই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে তুলো চাষে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদের দিয়ে জোর করে হাত দিয়ে তোলানো হয়েছিল। যে কায়দায় তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা আধুনিক শ্রমিক অধিকারের বিরোধী। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কার্যত দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে।

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন প্রশাসনের ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বহু অধিকার রক্ষা সংস্থা। জাতিসংঘেও এ প্রসঙ্গে চীনকে বার বার আক্রমণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রসঙ্গে চীনের সমালোচনা করেছিল। তবে দাসত্বের বিষয়টি এই প্রথম সামনে এলো। তবে কি চীন মধ্যযুগের বর্বরতায় ফিরে গেল????

শিনজিয়াং প্রদেশে গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ তুলো উৎপাদন হয়। চীন এই তুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। অ্যাডিডাস, নাইকে, গ্যাপের মতো সংস্থা শিনজিয়াং প্রদেশের তুলো কেনে। অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলির বক্তব্য, এই সংস্থাগুলি সব জেনেও চীনের থেকে তুলো কেনে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।

উইঘুর সংস্কৃতি মুছে দিতে’ বদলে ফেলা হচ্ছে গ্রামের নাম-

চীনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে উইঘুর মুসলমানদের সংস্কৃতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরদের কয়েক হাজার গ্রামের নাম বদলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

সম্প্রতি প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ধর্ম, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে রাখা কয়েক হাজার গ্রামের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। যেমন বিভিন্ন জায়গার নাম থেকে ‘সুলতান’ বা ‘শ্রিন’ (মাজার) বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই স্থানে খুশি বা সম্প্রীতি প্রকাশ করে, এমন সব শব্দে নাম রাখা হয়েছে।

চীন সরকারের প্রকাশ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানায় বিবিসি। এ অভিযোগ নিয়ে জানতে বিবিসি লন্ডনে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।

উইঘুর মুসলিমদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে বের করে চীনের মূল স্রোতের সঙ্গে সংযুক্ত করতে গত কয়েক বছরে চীনা প্রাশাসন থেকে জিনজিয়াংয়ে ব্যাপক জোরজবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমে যে ব্যবস্থাকে নির্যাতন বলা হয়ে থাকে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশ্লেষকেরা চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের ওয়েবসাইটে ঢুকে গত ১৪ বছরে জিনজিয়াং অঞ্চলের গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, ওই অঞ্চলে প্রায় ২৫ হাজার গ্রামের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি গ্রামের নাম বদলে ফেলা হয়েছে। যে নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল জাতিগত। প্রায় এক–পঞ্চমাংশ নাম ছিল উইঘুরদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

চীনে প্রায় দুই কোটি মুসলমানের বসবাস। আনুষ্ঠানিকভাবে চীন একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। চীন সরকার সব সময় দাবি করে, সে দেশে যার যার ধর্মপালনে পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তবে সরকার যতই দাবি করুক, গত কয়েক বছরে দেশটিতে ধর্মভিত্তক দমন-পীড়ন বেড়ে গেছে।

উইঘুর মুসলিম আগামী ২০ বছরে এক-তৃতীয়াংশ কমতে পারে-

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চীনের সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে তাতে জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের জনসংখ্যা আগামী ২০বছরে একতৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। জার্মানির একজন গবেষক সম্পতি এক নতুন বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন সরকার যে আঞ্চলিক নীতি গ্রহণ করেছে তাতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের জিনজিয়াং বসবাসরত সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা আগামী ২০ বছরে ২৬ লাখ থেকে ৪৫ লাখ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। জিনিয়াং প্রদেশে জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশ চীনকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছে।   কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে চীন বলেছে জন্মহার কমে যাবার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে।    

পুনঃশিক্ষণ শিবির: আধুনিক যুগের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প

চীন সরকার যাকে “ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার” বলে দাবি করে, আন্তর্জাতিক সমাজ তাকে আধুনিক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে শিবিরগুলো স্পষ্ট দেখা যায়। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের বর্ণনা অনুযায়ী:

  • বন্দিদের দিনরাত নজরদারি করা হয়।
  • জোর করে চীনা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হয়।
  • ইসলামি বিশ্বাস ত্যাগ না করলে মারধর ও নির্যাতন করা হয়।
  • নারীদের উপর যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া-

উইঘুর মুসলিম গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ খুবই সীমিত।

  • জাতিসংঘ: একাধিকবার তদন্তের দাবি জানালেও চীনের প্রভাবের কারণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন: চীনা কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
  • অন্যান্য দেশসমূহ: দুঃখজনকভাবে, অনেক মুসলিম দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে চীনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়নি।
  • মানবাধিকার সংস্থা: Amnesty International, Human Rights Watch সহ বিভিন্ন সংস্থা এই গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করেছে।

কেন এটি বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকি?-

উইঘুর মুসলিম গণহত্যা কেবল একটি জাতিগোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং পুরো মানবজাতির জন্য হুমকি। কারণ— ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। একটি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।যদি বিশ্ব নীরব থাকে, তবে ভবিষ্যতে অন্যত্রও এমন গণহত্যা হতে পারে। 

সাধারণ প্রশ্নত্তের-

প্রশ্ন ১: উইঘুর মুসলিম গণহত্যা কী?
উত্তর: উইঘুর মুসলিম গণহত্যা হলো চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর জনগোষ্ঠীর উপর পরিকল্পিত নির্যাতন, সাংস্কৃতিক ধ্বংস, ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ ও জোরপূর্বক আটক কার্যক্রম।

প্রশ্ন ২: কেন চীন উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন করছে?
উত্তর: চীন দাবি করে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তারা উইঘুর মুসলিমদের সাংস্কৃতিক পরিচয় মুছে ফেলার জন্যই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

প্রশ্ন ৩: শিবিরে কী ধরনের নির্যাতন হয়?
উত্তর: বন্দিদের শারীরিক নির্যাতন, মানসিক যন্ত্রণা, ধর্ম ত্যাগে বাধ্য করা, জোরপূর্বক শ্রম ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন ৪: আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়ে কী করছে?
উত্তর: কিছু পশ্চিমা দেশ চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে জাতিসংঘ ও অনেক মুসলিম দেশ এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।


Share this article

Leave a Reply

Back To Top